বাসের ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডার পর চালক ও সহকারীকে পিটিয়ে হত্যা

মারধরে মৃত্যুপ্রতীকী ছবি

ঢাকার সাভারে বাড়তি ভাড়ার জেরে মারধরে একটি যাত্রী পরিবহনের বাসচালক ও চালকের সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড) এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ইতিহাস পরিবহনের চালক গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার সোহেল রানা (২৬) ও চালকের সহকারী ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকার হৃদয় (৩০)। তাঁরা ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। তবে ঘটনার সময় দৌড়ে পালিয়ে চালকের আরেক সহকারী বেঁচে যান।

হৃদয়ের বড় ভাই আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিকেল চারটার দিকে আমি ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পাই। পরে বাসের অপর সহকারীর কাছ থেকে জানতে পারি, ইতিহাস পরিবহনে ঢাকার মিরপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ভাড়া ৮০ টাকার মতো। ঈদ উপলক্ষে সোমবার ভাড়া ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। সব যাত্রীকে ভাড়া বলেই বাসে উঠানো হয়। একজন যাত্রী বাসে ওঠার পর ১০০ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে হৃদয় ওই যাত্রীকে ভাড়া লাগবে না বলে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হন ওই যাত্রী।’

আতিকুর বলেন, ওই যাত্রী হৃদয়কে আশুলিয়া থানা এলাকায় পৌঁছালে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। বাসটি তিনটার দিকে আশুলিয়া থানাসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে বাসে ২০-৩০ জন যুবক উঠেন। বাসটি কিছু দূর গিয়ে ডিইপিজেড এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়লে তাঁরা হৃদয়কে বাস থেকে নামিয়ে বাসের পেছনে নিয়ে ইট দিয়ে বুকে আঘাত করে হত্যা করেন। এ ছাড়া চালককেও মারধর করেন। এ সময় বাসচালকের অপর সহকারী ভয়ে দৌড়ে কিছু দূর গিয়ে অবস্থান নেন। পরে তিনি ফিরে এসে অন্যান্য যাত্রী ও পথচারীদের সহায়তায় চালক ও হৃদয়কে গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।’

আতিকুর আরও বলেন, ‘সামান্য ভাড়ার জন্য আমার ভাইসহ আরেকজনকে ওরা পিটাইরা মাইরা ফেলল। আমি তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে মারধরে বাসচালক ও তাঁর সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।