লক্ষ্মীপুরে এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১০ ডেঙ্গু রোগী

ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসবাহিত রোগ, যা এডিস ইজিপ্টি মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়
ফাইল ছবি: রয়টার্স

লক্ষ্মীপুরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ১০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এ নিয়ে এই মৌসুমে ১০ শিশুসহ ১৩৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত তিন শিশুসহ ১৪ জন রোগী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবক আবদুল কাদের ও সোহাগ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা দুজনই ঢাকায় চাকরি করেন। সেখানে তাঁরা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়িতে এসে সদর হাসপাতালে পরীক্ষা করালে তাঁদের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ছয়-সাত দিন ধরে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এদিকে ডেঙ্গু রোধে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে উদ্যোগ নিতে জেলা প্রশাসক ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে সভা করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। দুই দিন ধরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের চক বাজার, উত্তর স্টেশন ও ফায়ার সার্ভিস এলাকায় মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করতে দেখা গেছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে এ মৌসুমে ১৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩২ জন সদর হাসপাতালে ও ৭ জন কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুধু অক্টোবর মাসে ৬৯ জন রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল পর্যন্ত ১৪ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাঁরা এখন মোটামুটি ভালো আছেন। এ ছাড়া গত এক মাসে ৬৯ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, জেলার প্রত্যেকটি মানুষকে সচেতন হতে হবে। যাঁদের ছাদবাগান আছে, তাঁদের অবশ্যই তা পরিষ্কার রাখতে হবে। জ্বরে আক্রান্ত হলে বাসায় বসে না থেকে হাসপাতালে চলে আসতে হবে। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে। কালক্ষেপণ করলেই এ রোগ মারাত্মক হয়ে ওঠে।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের মশকনিধন কর্মসূচি চলমান রয়েছে। পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে কয়েক দিন ধরে স্প্রে ছিটানো হচ্ছে।’