মাছের কর্কশিটে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল হরিণের মাংস

পুলিশের অভিযানে আটক ব্যক্তি। সামনে জব্দ করা হরিণের মাংস
ছবি: সংগৃহীত

খুলনার কয়রা উপজেলায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ৪৪ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে উপজেলা সদরের দেউলিয়া বাজার ও গাববুনিয়া গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় হরিণের মাংস পরিবহন ও পাচারের অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার পাতাখালী গ্রামের সাহেব আলী, খুলনার রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আবুল কাশেম এবং খুলনা সদরের পালপাড়া রোডের বদর আল অসীম কোরাইশী। তাঁদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, আজ সকাল ১০টায় উপজেলা সদরের দেউলিয়া বাজার মৎস্য আড়ত-সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। সেখানে মাছ বহনকারী কর্কশিটের মধ্যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ২৭ কেজি হরিণের মাংস মাছের ট্রাকে তুলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ হাতেনাতে মাংস বহনকারী সাহেব আলীকে আটক করে।

কয়রা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘আমরা সকাল ১০টায় ২৭ কেজি হরিণের মাংস জব্দের পরপরই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, কয়রার গাববুনিয়া গ্রামে সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংস এনেছেন কয়েক ব্যক্তি। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭ কেজি হরিণের মাংসসহ দুজনকে আটক করে।’

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম এস দোহা প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন আইনে থানায় মামলার পর আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।