লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণালংকার লুটের জন্য মা-মেয়েকে হত্যা, জানাল পুলিশ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় স্বর্ণালংকার লুটের জন্য ঘরে ঢুকে মা–মেয়েকে খুন করা হয় বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে ধরা পড়া আসামি পারভেজ হোসেন (৩৫)। আজ শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি গ্যারেজ থেকে পারভেজকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁকে লক্ষ্মীপুরে আনা হয়। পারভেজ রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত আবদুল করিমের ছেলে। নিহত তানহা মীমের ফুফাতো ভাই তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, পারভেজের জবানবন্দি অনুযায়ী, ঘটনার দিন তিনি মামার বাড়িতে যান। মামি জুলেখা বেগম ও মামাতো বোন তানহা মীম তাকে আপেল–আমড়া খেতে দেন। পরে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় প্রথমে মামাতো বোন তানহাকে, এরপর মামি জুলেখা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেন পারভেজ।
হত্যার পর পারভেজ নিজের রক্তমাখা পোশাক খুলে ব্যাগে রেখে মামাতো ভাইয়ের প্যান্ট–গেঞ্জি পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে রামগঞ্জের একটি খালে রক্তমাখা পোশাক ফেলে দেন। পুলিশ গতকাল রাতে ওই খাল থেকে পোশাক উদ্ধার করেছে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকেও মামাতো ভাইয়ের গেঞ্জি এবং খুনের পর নেওয়া সাত ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আকতার হোসেন বলেন, ‘পারভেজের উদ্দেশ্য ছিল মামার বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়া। প্রথমে ভয় দেখানোর পরিকল্পনা থাকলেও পরে ধরা পড়ার আশঙ্কায় খুন করেন। দুই মাস আগে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন। সেই কারণে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।’
৯ অক্টোবর রাতে রামগঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রামে মা–মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম (৫৫) ও তাঁদের মেয়ে তানহা মীম (২০)। তানহা রামগঞ্জ মডেল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।