নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ গ্রেপ্তার ৩

নির্বাচনী সহিংসতা
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচনকে ঘিরে এক সহিংসতায় আহত আমির হোসেন মৃধা (৬৫) নামের এক ব্যক্তি ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মহসীন (৫৩) এবং তাঁর কর্মী মো. ফারুক (৪০) ও মো. জহিরকে (৩০) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আমির হোসেন আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। তিনি নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকের পক্ষে কাজ করেছেন। আগামী ২৭ জুলাই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

স্থানীয় ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৮ জুলাই চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মহসীনের ওপর হামলা হয়। ওই হামলার ঘটনার জেরে নৌকার কর্মী আমিন মৃধার ওপর হামলা হয়। আমিনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ওই দিনই তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, ৯ জুলাই ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫-৭ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমির হোসেনের ছেলে মো. সোহেল মৃধা (৩৫) বাদী হয়ে মামলা করেন। তবে গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।