কেরানীগঞ্জে প্যাকেজিং কারখানায় আগুন, আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আগুনে পুড়েছে একটি প্যাকেজিং কারখানা। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাস্তা ইউনিয়নের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা–সংলগ্ন পলাশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে প্যাকেজিং কারখানায় রাখা রাসায়নিকের ড্রামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্যাকেজিং কারখানাটির নাম আমিন করপোরেশন। এখানে চিপস ও বিস্কুট-জাতীয় খাদ্যপণ্যের প্যাকেট তৈরি করা হতো। কারখানাটির আগুন রাত পৌনে নয়টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অগ্নিকাণ্ডে কারখানাটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও রাসায়নিক পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইমতিয়াজ আহমেদ এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আমি কারখানার পাশে একটি দোকানে চা খাচ্ছিলাম। এমন সময় কারখানার ভেতর থেকে আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনতে পাই। এরপর আমিসহ অনেকে দৌড়ে গিয়ে দেখি, কারখানার ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। প্রচণ্ড তাপে আমরা দৌড়ে বাইরে চলে যাই।’
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চলের উপসহকারী পরিচালক এ কে এম শামসুজ্জোহা জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে তাঁরা কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান। ৭টা ০৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে আরও আটটি ইউনিট এসে যোগ দেয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কী কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র আমাদের নজরে আসেনি। কেমন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এ বিষয়টির তদন্ত চলছে।’
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সল বিন করিম সাংবাদিকদের বলেন, এ কারখানায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ও প্লাস্টিক প্যাকেজিং দ্রব্য ছিল। তাই আগুনের তীব্রতা বেশি ছিল। এ কারখানায় বৈধ কাগজপত্র আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
কারখানা মালিক রুহুল আমিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁর বন্ধু বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানায় পাঁচ–ছয়জন কর্মচারী ছিল। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনে কারখানার মালামাল ও যন্ত্রাংশ পুড়ে আনুমানিক ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাঁর।