বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন শুরু
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম বর্ষিকী উদ্যাপন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর জিলা স্কুল ক্যাম্পাসে এ আয়োজন শুরু হয়।
এর আগে একটি সমাবেশে (অ্যাসেম্বলি) বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সেখানে শারিরীক কসরত প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় জাতীয় পতাকা, উৎসবের পতাকা ও জিলা স্কুলের পতাকা উত্তোলন করা হয়। যৌথভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা ও পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম। গৌরবময় ১৮৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন ও পুনর্মিলনী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ও সদস্যসচিব ওয়াহিদ মিয়া যৌথভাবে উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন। জিলা স্কুলের পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রীতিলতা সরকার। এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করা হয় এবং ফেস্টুনসহ বেলুন উড়িয়ে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পারস্পরিক ভাববিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের ঐতিহ্য ও কৃষ্টি অনুসরণ করে চলতে হবে। জিলা স্কুল যে স্বপ্ন দেখায়, তা যেন যুগযুগান্তর ধরে আমাদের পাথেয় হয়। এ স্বপ্ন যেন জাতি ধারণ ও লালন করে—এটিই প্রত্যাশা। জিলা স্কুল যে স্বপ্ন দেখায়, সে স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে।’
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি জিলা স্কুলের সামনে মুজিব সড়ক থেকে শুরু হয়ে স্টেশন মোড়, পৌরসভা ও জেনারেল হাসপাতাল, ফরিদপুর প্রেসক্লাব, জনতা ব্যাংকের মোড়, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা, মহাকালীর মোড়, অম্বিকা সড়ক, সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ, শিল্পকলা একাডেমি, সোনালী ব্যাংকের মোড়, চৌরঙ্গীর মোড় ও ব্রহ্মসমাজ সড়ক ঘুরে আবার মুজিব সড়ক হয়ে স্কুল ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের প্রথম দিনের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে রয়েছে স্মৃতিচারণা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, আতশবাজি উৎসব, স্কুলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।