প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জামালপুরে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

জামালপুর জেলার মানচিত্র

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদসহ বিএনপি-জামায়াতের সাত নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বাদী হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী (দ্রুত বিচার) আদালতে মামলার আবেদন করেন।

আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আবেদনটি আমলে নিয়ে দুই কার্যদিবসের মধ্যে মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন

মামলার বিবাদীরা হলেন বিএনপির নেতা আবু সাইদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন (আলাল), সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স), সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার (শামীম), সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী (মামুন) এবং জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হারুন অর রশিদ।

মামলার আবেদনে বলা হয়, ১৯ মে বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক জনসভায় উত্তেজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা, শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে।’ ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় রাষ্ট্রবিরোধী জনসভার মতো ২১ মে বেলা ১১টায় জামালপুর শহরের শফি মিয়ার বাজার এলাকায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় ২ থেকে ৭ নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার অভিপ্রায়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এতে জামালপুরের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার স্বার্থে মামলা করা হয়েছে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন

মামলায় সাক্ষী হিসেবে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ ব ম জাফর ইকবাল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. জাবেদুল ইসলাম, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ তানভির আহম্মেদ, জেলা তাঁতি লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক জাকিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাফীউল করিম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরা চৌধুরী।