নিজের পাতা ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঘেরমালিকের মৃত্যু

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট
প্রতীকী ছবি

মাছের ঘেরে সবজি চাষ করেছিলেন দেলোয়ার হোসেন শেখ (৬২)। সবজি খেতে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতেছিলেন। অসাবধানতাবশত সেই বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা গেছেন।

আজ বুধবার সকালে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কুমারখালী গ্রামের ঘের থেকে দেলোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেলোয়ার উপজেলার কুমারখালী গ্রামের আবদুল জলিল শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন বাড়ির পাশে একটি জমিতে মাছের চাষ (ঘের) করেন। ঘেরের আলে তিনি বিভিন্ন সবজি চাষ করেন।

সবজিখেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় সম্প্রতি তিনি সবজি খেতের চারপাশে জিআই তারের বেষ্টনী দিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে ফাঁদ তৈরি করেন। গতকাল রাতে দেলোয়ার হোসেন বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। আজ সকালে পরিবারের লোকজন তাঁকে ঘেরের সবজি খেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. বাচ্চু শেখ বলেন, ‘গতকাল রাত নয়টার দিকে আমার বাবা বাড়ি থেকে বের হন। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। আজ সকালে তাঁকে খুঁজতে গিয়ে ঘেরের মধ্যে ইঁদুরের ফাঁদের তারে জড়ানো অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে তিনি ঘেরে যাওয়ার পর অসাবধানতাবশত বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা গেছেন।’

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। দেলোয়ার হোসেন নিজের তৈরি ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।