সিলেটে ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ মারধর, এএসআই বরখাস্ত
সিলেটে তালিকাভুক্ত একজন ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে। মারধরে আহত ইসলাম উদ্দিন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার ভোরে সিলেট নগরের লামাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত এএসআই জসিম উদ্দিন সিলেটের লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় একজন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের যুগ্ম সদস্যসচিব ফখরুল হাসান বলেন, ইসলাম উদ্দিন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। জুলাইয়ে আন্দোলনে আহত হওয়ার পর তিনি আর অটোরিকশা চালাতে পারেন না। একটি ছোট চায়ের দোকান চালিয়ে সংসার চালান। শনিবার ইসলাম উদ্দিন প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজের পর দোকান খুললে এএসআই জসিম উদ্দিন সেখানে গিয়ে এত ভোরে দোকান খোলার কারণ জানতে চান। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করেন। এ সময় জোর করে পুলিশের ভ্যানে তুলতে গেলে ইসলাম উদ্দিন নিজেকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র পরিচয় দেন।
ফখরুল হাসান বলেন, ‘এএসআই জসিম ইসলাম উদ্দিনকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আন্দোলনের সময় “পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস” এমনটি বলে কিল–ঘুষি, থাপ্পড় মারতে মারতে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ইসলাম উদ্দিনকে রাস্তায় ফেলে চলে যান।’
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার রেজাউল করিম অভিযোগটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এএসআই জসিম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে পরে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় একজন অতিরিক্ত উপকমিশনারকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটি। এ ছাড়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুল হুদা (জুনেদ)।
এদিকে শনিবার বিকেলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইসলাম উদ্দিনকে দেখতে যান সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।