ফাঁদ পেতে ছয় শতাধিক বাবুই পাখি হত্যা, বাবা-ছেলেকে কারাদণ্ড

রাতে ফাঁদ পেতে পাখিগুলো ধরেন পাখি শিকারি ওই বাবা ও ছেলে। সকালে পাখিগুলো জবাই করে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ফাঁদ পেতে ছয় শতাধিক বাবুই পাখি ধরে হত্যা করার দায়ে দুজন শিকারিকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বুধবার সকালে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহরাব হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁদের এই সাজা দেন। একই সঙ্গে তাঁদের ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

দণ্ড পাওয়া ওই দুই শিকারি হলেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৫) ও তাঁর ছেলে ফিরোজ হোসেন (৩২)। তাঁদের বাড়ি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মদনহাট গ্রামে।

ফিরোজ বাবাকে সঙ্গে নিয়ে চারঘাটে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চারঘাটের কাঁকড়ামারী বিল মেরামতপুর এলাকায় ফাঁদ পেতে ছয় শতাধিক পাখি শিকার করেন তাঁরা। সকালে পাখিগুলো জবাই করে ব্যাগে ভরেন। এ সময় ইউএনও পাখি শিকারের খবর পান।

ইউএনও সোহরাব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পাখিশিকারি বাবা ও ছেলে আগেও চারঘাটে পাখি ধরেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। প্রতিটি পাখি ১০ টাকা করে হোটেলে বিক্রি করেন তাঁরা। পাখি ধরে হত্যা করায় তাঁরা বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ৬ (১) এবং ক (১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করেছেন।

সোহরাব হোসেন আরও বলেন, বন্য প্রাণী আইনের ২৬ ধারায় তাঁদের এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের আরও ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা সঙ্গে সঙ্গে আদায় করা হয়। সকালেই তাঁদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর পাখিগুলো স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।