বহিরাগত ও অছাত্রমুক্ত জাহাঙ্গীরনগরের দাবিতে মানববন্ধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট সিনেট সদস্যরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কেছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় দ্রুত বিচার এবং বহিরাগত ও অছাত্রমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট সিনেট সদস্যরা ও বরিশালে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এসব মানববন্ধন করে।

আরও পড়ুন

দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন হয়। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘অতীতেও এ রকম অনেক ঘটনা ঘটেছে, গ্রেপ্তার হয়েছে, কিন্তু সঠিক বিচার হয়নি। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, এ ঘটনায় যারা যুক্ত, সবাইকে সঠিক বিচারের আওতায় আনতে হবে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে যেন সব অছাত্র, বহিরাগত, কুলাঙ্গার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যায়।’

এর আগে পৌনে ১১টার দিকে একই সড়কে এই মানববন্ধন করে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট সিনেট সদস্য এবং শিক্ষকেরা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শরীফ এনামুল কবির বলেন, ‘ধর্ষণে ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার বা বহিষ্কার নয়, অবিলম্বে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। অছাত্রদের অবিলম্বে হল থেকে বিতাড়িত করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩টি হলে ১৬ হাজার আসন রয়েছে। ১৬ হাজার আসন থাকা সত্ত্বেও কেন শিক্ষার্থীরা আসন পায় না? কেন তাদের গণরুমে থাকতে হয়?’ বর্তমান উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি ৪ তারিখে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৫ দিনের মধ্যে অছাত্রদের হল থেকে বিতাড়িত করবেন। পাঁচ দিন মানেই পাঁচ দিন। এর মধ্যেই আমরা অছাত্রমুক্ত হল চাই।’

আরও পড়ুন

এদিকে আজ দুপুরে বরিশাল নগরের সদর রোডে অশ্বিনীকুমার হলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সমাবেশে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘ছাত্রলীগ ধর্ষণ করলে বিচার হয় না, ছাত্রলীগ করে অপকর্ম করেও পার পাওয়া যায়। আজ এই ঘটনার বিচার না হলে সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে নারীদের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকবে না।’