নড়াইলে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র বিতরণ

এসএসসি পরীক্ষা
ফাইল ছবি

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার একটি এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার সময় বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র (এমসিকিউ) বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব দীপ্তি রানী বৈরাগী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া একই উপজেলার বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজ ও ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। তবে এই তিন কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ওই প্রশ্ন বিতরণ করা হয়নি বলে দাবি করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ।

প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব দীপ্তি রানী বৈরাগী প্রথম আলোকে বলেন, আজ বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা ছিল। বহুনির্বাচনী প্রশ্নের একটি প্যাকেটের ওপরে বাংলা প্রথম পত্রের কোড থাকলেও ভেতরে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ১০০টি প্রশ্ন ছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রের মোট ৯টি কক্ষের মধ্যে তিনটি কক্ষের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্নপত্রগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হয়। পরে প্রথম পত্রের প্রশ্ন দিয়ে যথাযথভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব অমলেন্দু হিরা দাবি করেন, তাঁর কেন্দ্রে আসা প্রশ্নপত্রের একটি প্যাকেটে বাংলা প্রথমপত্রের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের বদলে দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নপত্র ছিল। প্যাকেট খুলে ভুলের বিষয়টি দেখা যায়। তবে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের আগেই বিষয়টি নজরে এসেছিল। তাই সঠিক প্রশ্নপত্র দিয়েই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদ ভূঁইয়া বলেন, লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া নবগঙ্গা কলেজ কেন্দ্র ও ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এমসিকিউ প্রশ্নে একটি করে প্যাকেটের ওপরে বাংলা প্রথম পত্র লেখা থাকলেও ভেতরে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ছিল। প্যাকেট খোলার পরই কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সেগুলো বিতরণ করা হয়নি। সঠিক প্রশ্নপত্র দিয়েই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, পরীক্ষা সঠিক প্রশ্ন দিয়ে যথাযথভাবে নেওয়া হয়েছে। ওই চারটি পরীক্ষাকেন্দ্রের বিষয়ে তৎক্ষণাৎ যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রশ্ন খোলা হয়েছে, তবে যেহেতু প্রশ্নপত্রের একাধিক সেট তৈরি থাকে, তাই অন্য সেটের প্রশ্ন দিয়ে দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা নেওয়া যাবে।