বিয়ের এক সপ্তাহ আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সৌদিপ্রবাসীর মৃত্যু

জুনেদ আহমদছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জুনেদ আহমদ (২৮) নামের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীর বাড়িতে নতুন কেনা রেফ্রিজারেটরে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এক সপ্তাহ পর তাঁর বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল। তাঁর অকালমৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত জুনেদ আহমদ উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম কচুরগুল গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে জুনেদ ছিলেন সবার বড়। ছোট ভাই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।

স্বজনেরা জানান, পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে এইচএসসি পাসের পর বিদ্যুৎ মেরামতের কাজ শিখে বছরখানেক আগে সৌদি আরবে যান তিনি। সেখানে একজন বিদ্যুৎ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ১০-১৫ দিন আগে ছুটিতে দেশে ফেরেন। পাশের গ্রামে মামাতো বোনের সঙ্গে তাঁর বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা ছিল আগামী শুক্রবার। তার আগেই ঘটে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের বাসিন্দা আবদুর নূরের বাড়িতে নতুন কেনা রেফ্রিজারেটরে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়ার জন্য জুনেদকে ডেকে নেওয়া হয়। কাজ করার এক পর্যায়ে হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে পথেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রবাসী জুনেদের মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসী ও স্বজনেরা জানিয়েছেন। তাঁর শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কচুরগুল গ্রামের বাসিন্দা জুনেদের বন্ধু জাবেদ আহমদ বলেন, ‘জুনেদ সদালাপী, ভালো ছেলে ছিল। দেশে ফেরার পর প্রায়ই বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতাম। তার অকালমৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’