হবিগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতা জি কে গউছ, জানালেন আইনজীবী

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছ
ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ। তাঁর আইনজীবী আফজল হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে আইনজীবী আফজল হোসেন বলেন, জি কে গউছ হবিগঞ্জ পৌরসভার টানা তিনবারের নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। তিনি একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কারাগার থেকে চিকিৎসা ও প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। তিনি উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে তিন মাস ধরে শারীরিক যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

আফজল হোসেন বলেন, গতকাল রোববার জেলা কারাগারে জি কে গউছের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। এ সময় তাঁর মক্কেল শারীরিক সমস্যাসহ নানা অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। জি কে গউছ তাঁকে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই কারাগারে তাঁর (জি কে গউছ) পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেই ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন। ঢাকার একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তিনি (গউছ) নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু কারাগারে থাকায় পিঠের সেই ব্যথা আবারও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই কারা হাসপাতালের চিকিৎসক তানভির রব চিকিৎসা দিয়েছেন। চিকিৎসক সম্পূর্ণ ‘বেড রেস্টে’ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

আইনজীবী আফজল হোসেন আরও বলেন, একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী হওয়ার পরও জি কে গউছ তাঁর প্রাপ্ত চিকিৎসা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরিবার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। কারও সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ দিচ্ছে না কারা কর্তৃপক্ষ। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক একাধিকবার কারাগার পরিদর্শন করেছেন। বন্দীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তিনবারের মেয়র জি কে গউছের সঙ্গে দেখা করেননি। জেলা প্রশাসকের এমন আচরণে জি কে গউছ হতাশ হয়েছেন। বিএনপি করার কারণেই কি তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি? এই প্রশ্নও তোলেন জি কে গউছ।

গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে বিএনপির ১২ শ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। ২৯ আগস্ট এ মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়ে হাইকোর্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে জি কে গউছকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। পরদিন ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এদিকে হবিগঞ্জ সদর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালের একটি মামলায় জি কে গউছকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় তিন মাস ধরে হবিগঞ্জ কারাগারে আছেন। এ মামলায় হাইকোর্টে তাঁর জামিন চাওয়া হয়েছে। কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।