পলাশে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে আহত

শফিকুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় শফিকুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবককে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তাঁর বাঁ হাত গুরুতর জখম হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শফিকুল ইসলামের বাড়ি ডাঙ্গা ইউনিয়নের দাম্মাবাড়ি গ্রামে। শফিকুলের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য কামাল হোসেনের শ্যালক আরিফ মিয়া (৩২) এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

শফিকুলের পরিবারের সদস্যরা বলেন, গতকাল বুধবার আরিফ মিয়ার সঙ্গে শফিকুলের কোনো এক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। এর সমাধান করার কথা বলে তাঁকে মুঠোফোনে কল করে দুপুর ১২টার দিকে জয়নগর গ্রামে যেতে বলেন আরিফের দুলাভাই কামাল হোসেন। শফিকুল সেখানে যাওয়ার আগেই দলবল নিয়ে ওত পেতে ছিলেন আরিফ মিয়া। পরে আরিফের নেতৃত্বে শফিকুলের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে লোকজন।

শফিকুলের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) নেওয়া হয়। বর্তমানে শফিকুল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালেয় চিকিৎসাধীন।

শফিকুল ইসলামের বড় ভাই রবিউল মিয়া বলেন, ‘আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে আরিফের কী নিয়ে দ্বন্দ্ব, আমরা এর কিছুই জানি না। তবে কামাল মেম্বার কল করে সেখানে তাঁকে ডেকে নিয়েছেন, এটা জানতাম। আমার ভাইয়ের বাঁ হাতের কবজি কেটে দিয়েছে হামলাকারীরা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তার (শফিকুলের) ভয়াবহ পরিস্থিতি। তখন সরাসরি ঢাকায় নিয়ে এসেছি। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’

ঘটনা সম্পর্কে জানতে আরিফ মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেন এই প্রতিবেদক। প্রতিবারই তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে তাঁর দুলাভাই সাবেক ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন, শফিকুলের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি জড়িত নন।

ডাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান সাবের উল হাই বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, আরিফ ও শফিকুল উভয়ই মাদক ব্যবসায়ী। সম্ভবত মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

ডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক খায়রুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। এই ঘটনায় আহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা এখনো লিখিত অভিযোগ দেননি।