নোয়াখালীতে পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাও করে বাজারে হামলা, আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর

সীমানা বিরোধের জেরে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাও করে বাজারে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে রামগতির আবদুর রব বাহিনীর প্রধান আবদুর রবের নেতৃত্বে শতাধিক দুর্বৃত্ত আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হরণী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের টাংকির বাজারে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় চারদিক থেকে টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাও করে রাখেন। এরপর তাঁদের একটি গ্রুপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে। তাঁরা এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। পরে চেয়ারম্যান ঘাট, মোর্শেদ বাজার ও মাইনুদ্দিন বাজার থেকে পুলিশ গিয়ে ঘেরাও হয়ে থাকা টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্প রক্ষা করে। পুলিশের ফাঁকা গুলি ও ধাওয়ার মুখে হামলাকারীরা পিছু হটেন। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও হরণী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বাজার দখল ও লুটপাটের উদ্দেশ্যে রামগতির আবদুর রব বাহিনীর প্রধান আবদুর রবের নেতৃত্বে দুই শতাধিক দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। তারা বিভিন্ন দোকানের শাটার কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্যাপক হামলা–ভাঙচুর চালায়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন।

অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বিজয়া সেন প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আবদুর রবের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত টাংকির বাজার দখলের চেষ্টা চালায়। তারা এ সময় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাও করে রাখে। বাজারে কিছু দোকান ক্ষয়ক্ষতি করে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বাজারে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হরণী ইউনিয়নের টাংকির বাজার এলাকাটি হাতিয়া উপজেলার সীমানার মধ্যে হলেও দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্মীপুরের রামগতির কিছু লোক তাঁদের বলে দাবি করে আসছেন। এর আগে বেশ কয়েকবার রামগতি এলাকার থেকে লোকজন এসে টাংকির বাজারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছিলেন।