সিলেটে সাত দফা দাবিতে ৫৬ ঘণ্টা অনশনের পর আশ্বাস পেলেন তরুণ
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক দ্রুত সংস্কারসহ সাত দফা দাবিতে প্রায় ৫৬ ঘণ্টা ধরে টানা অনশন করছেন আবদুল্লাহ আল মামুন নামের এক তরুণ। পরে অনশনরত ওই তরুণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আরও দুটি সংগঠনের সদস্যরা শনিবার সন্ধ্যায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনের মুখে জেলা প্রশাসক সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে রাত ৯টার দিকে অনশন ও অবরোধ শেষ করেন আন্দোলনকারীরা।
গত বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিক থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিয়ে সাত দফা দাবিতে অনশন শুরু করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। অনশনকারী ওই তরুণ সিলেটের জকিগঞ্জের বাসিন্দা এবং তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
এই তরুণের দাবিগুলো হলো সিলেটের জন্য বিশেষ বাজেট ও পর্যটনের জন্য বাজেট ঘোষণা করা, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ছয় লেনের কাজ দ্রুত শেষ করা, সিলেট বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো, সিলেট থেকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বিমানের টিকিটের দাম কমানো, সিলেট-ঢাকা রেলপথে ডাবল লাইন নির্মাণ, নতুন ট্রেন বাড়ানো, সিলেটে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা।
অনশনকারী তরুণের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা এবং রেভিটা বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার নেতারা। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এ সময় তিনি অনশনকারী তরুণের দাবির বিষয়গুলো শোনার পাশাপাশি আন্দোলনরত অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি দাবি দাওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ক্রমান্বয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে অনশন এবং সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
রাত ৯টার দিকে অনশনকারী তরুণকে পানি ও ফলের রস পান করিয়ে অনশন ভাঙান জেলা প্রশাসক। এরপর সিলেটের চৌহাট্টা ও জিন্দাবাজার সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।