ঈশ্বরদীতে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা, গ্রেপ্তার ৫

বিএনপি–জামায়াতের সংঘর্ষের সময় গুলি ছুড়ছেন যুবক। গত বৃহস্পতিবার বিকেলেছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়াতের দুজন ও বিএনপির তিনজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ রোববার বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

বিএনপির মামলায় পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও জেলার আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতের মামলায় স্থানীয় সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আবদুর নূর। পাশাপাশি ঘটনার দিন অস্ত্র হাতে গুলি ছোড়া যুবক জামায়াতের কর্মী বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর ওই যুবকের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। তবে আজ দুপুর পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

পাবনা-৪ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলার আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী জেলা শাখার আমির আবু তালেব মন্ডল। দুজনই দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। উপজেলার চরগড়গড়ি গ্রামে কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। দুই দিন আগে তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল ওই এলাকায় গণসংযোগে যান। তখন দুই পক্ষের কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি গুলি ছোড়া হয় এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আরও পড়ুন

ঈশ্বরদী থানা সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বাঁধন হাসান বাদী হয়ে জামায়াতের প্রার্থীসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। অন্যদিকে ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধাসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।

ওসি আ স ম আবদুর নূর প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে দুটি এজাহার দিয়েছে। দুই পক্ষের মামলা নিয়ে আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন