চট্টগ্রামের এম এম আলী সড়কে জমে থাকা পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কিশোরসহ দুজনের মৃত্যু

এ আই দিয়ে তৈরি প্রতীকী ছবি।

বাড়ির নিচে জমে ছিল গত রাতের বৃষ্টি। আজ রোববার সকালে সেখানে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী আবু তৈয়ব (৪৫)। তাঁর এ অবস্থা দেখে ছুটে গিয়েছিল ওই বাড়িরই রবিউল (১৪) নামের এক কিশোর। তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় রবিউলও। হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আজ সকালে চট্টগ্রামের এম এম আলী সড়কের বশর ভিলা নামের একটি বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, রাতের বৃষ্টিতে ভবনটির নিচে পানি জমে যায়। আজ সকাল সাতটায় নিরাপত্তা প্রহরী তৈয়ব পানিতে নামলে বিদ্যুতায়িত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে রবিউলও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। রবিউল ভবনের ভাড়াটে মো. হুমায়ুনের ছেলে। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। অপর দিকে তৈয়বের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তৈয়ব ও রবিউল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পরপরই বাড়ির বাসিন্দারা বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দুজনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুজনকে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।