সিলেটে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় কনস্টেবলের মৃত্যু
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেট কার দেখতে গিয়ে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মোগলাবাজার পারাইরচক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়ছল আহমদ (২৭) মোগলাবাজার থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বারগাত্তা গ্রামের বাসিন্দা।
দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই কিশোর আরোহী আহত হয়েছে। তারা হলো, গোলাপগঞ্জ উপজেলার কোনাচর গ্রামের মিসবাহ উদ্দিনের ছেলে সামি (১৭) ও রাম্পা গ্রামের মাহজাব উদ্দিনের ছেলে মাহবুবুর রহমান (১৭)।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোগলাবাজার থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য লেগুনায় করে পারাইরচক–শ্রীরামপুর সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশের লেগুনার চালক ছিলেন কনস্টেবল ফয়ছল আহমদ। পথে পারাইরচক সড়কের প্রবেশমুখে সড়কের পাশে একটি প্রাইভেট কার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় গাড়ি থামিয়ে কারটি দেখতে যান ফয়ছল আহমদ। প্রাইভেট কারটির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় শ্রীরামপুরের দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল ফয়ছল আহমদকে ধাক্কা দিয়ে সড়কের ওপর ফেলে দেয়। এতে ফয়ছল গুরুতর আহত হন। পরে তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফয়ছলের মৃত্যু হয়।
ওই লেগুনায় থাকা মোগলাবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিনয় কুমার চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কের পাশে প্রাইভেট কার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বিষয়টি জানার জন্য আমরা গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেখছিলাম। এ সময় একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল ফয়ছলকে ধাক্কা দিয়ে সড়কের ওপর ছিটকে ফেলে দেয়। এতে ফয়ছল মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেলের দুই আরোহীই কিশোর। তাদের মাথায় কোনো হেলমেট ছিল না। হেলমেট মোটরসাইকেলের সামনে ঝুলিয়ে রাখা ছিল। বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। ফয়ছলকে ধাক্কা দেওয়ার পর তারাও পড়ে গিয়েছিল। তাদেরও উদ্ধার করা হয়েছে। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যজন তেমন আঘাত পায়নি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় রাখা হয়েছে।
সিলেটের মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, পুলিশ সদস্যের নিহত হওয়ার বিষয়টি তাঁর পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।