মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বারসহ একজনের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সীমান্তে ৬৮টি স্বর্ণের বারসহ এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম। বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের বারাদী সীমান্ত চৌকির সদস্যরা রোববার বিকেলে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের পাশের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। পানিতে ডুবে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) পরিচালক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। রোববার রাত পৌনে নয়টায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মিরাজ হোসেন (২২)। মিরাজ নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সদস্যরা বলেন, বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বারাদী সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান হবে বলে খবর পায় বিজিবি। তখন বারাদী সীমান্তচৌকির (বিওপি) সদস্যরা টহল তৎপরতা জোরদার করেন। বিকেল চারটার দিকে বিজিবির টহল দলের সদস্যরা খবর পান যে দুজন স্বর্ণ চোরাকারবারি মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন সীমান্তের ২৫ গজ অভ্যন্তরে একজন চোরাকারবারি ডুবে যান এবং অপরজন নদী থেকে উঠে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে যান।
বারাদী সীমান্তচৌকির কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. জাকির হোসেন টহল দল নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মিরাজ হোসেনের লাশ উদ্ধার করেন। লাশ উদ্ধারের পর নিহতের শরীরে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, উদ্ধার করা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তসহ পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি ঘটনা হওয়ায় আইন অনুযায়ী বিষয়টি বিজিবি তদারক করছে। রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা করা হয়নি।