নবাবগঞ্জে চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে অটোরিকশাচালকদের ধর্মঘট

নবাবগঞ্জে চাঁদা বন্ধের দাবিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের মানববন্ধন। আজ দুপুরে।ছবি: প্রথম আলো

ঢাকার নবাবগঞ্জে চাঁদা বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট করেছে উপজেলার সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-বান্দুরা সড়কে অবস্থান নেন। স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে বেলা তিনটার দিকে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

চালকদের অভিযোগ, বান্দুরা স্ট্যান্ডে প্রায় অর্ধশতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। দিনে প্রতিটি গাড়ি থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা নেয় ওই এলাকার কালা মামুন নামের এক ব্যক্তি। এ ছাড়া ঢাকা চলাচলকারী অটোরিকশাপ্রতি ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। এসব চাঁদার টাকা দিতে না চাইলে চালকদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়।

সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ইউনুস বলেন, প্রতিদিন টাকা না দিলে ওই সড়কে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে উপজেলার সিএনজি চালক সমিতির সভাপতি মো. মিলন বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বেশি, যাত্রী কম হওয়াতে প্রতিদিন মালিককে জমার টাকা দিয়ে চলতে এমনিতেই কষ্ট হচ্ছে। আমরা এ ধরনের চাঁদা থেকে মুক্তি চাই। আমরা এ ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে চাই।’

মো. মিলন জানান, প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। চাঁদা আদায় বন্ধ না হলে সামনে তাঁরা কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন।

বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ন কবিরের নির্দেশে এসব চাঁদা তোলা হয় বলে জানিয়েছেন কালা মামুন। তিনি বলেন, এ কাজের জন্য প্রতিদিন মজুরি পান তিনি।

মামুন নিজেই দীর্ঘদিন ধরেই চালকদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করছে। কিছুদিন আগে মামুন তার লোকজন নিয়ে সিএনজি চালকদের মারধরও করেছে। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। মামুন নিজেকে দায়মুক্ত করতে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা কথা বলছে।
বান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির

তবে অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন বান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির। তিনি বলেন, ‘মামুন নিজেই দীর্ঘদিন ধরেই চালকদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করছে। কিছুদিন আগে মামুন তার লোকজন নিয়ে সিএনজি চালকদের মারধরও করেছে। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। মামুন নিজেকে দায়মুক্ত করতে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা কথা বলছে।’

এসব বিষয়ে ইউএনও কামরুল হাসান বলেন, ইজারার বাইরে কেউ চাঁদা নিতে পারবে না। এ রকম কিছু করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন