জাফলংয়ে পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয়দের হাতাহাতি, উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্রে যেতে বাধা

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পাথর কোয়ারিপ্রথম আলোর ফাইল ছবি

সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে পর্যটকদের হাতাহাতি হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে জাফলং বিজিবি ক্যাম্প–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তবে ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এ সম্পর্কে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী প্রথম আলোকে বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে পর্যটকদের সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান হয়ে গেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকের ভুল ধারণা হয়েছে।

রতন কুমার অধিকারী আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে পর্যটকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

জাফলংয়ে পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের হাতাহাতির ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জাফলং বিজিবি ক্যাম্প–সংলগ্ন একটি স্থানে পর্যটকদের পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসের পাশে জটলা। সেখানে কথাবার্তা হচ্ছিল। তবে কী নিয়ে কথা বলছিলেন, সেটি শোনা যায়নি। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে চিৎকার ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল বিকেলে জাফলং বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় কয়েকজন পর্যটকের সঙ্গে স্থানীয় কয়েক যুবকের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় পর্যটকদের ধাওয়া দেন কয়েক যুবক। পরে স্থানীয় মুরব্বিরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।

এদিকে গত রোববার কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রনিখাই ইউনিয়নে উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্রে যেতে পর্যটকদের বাধা দেওয়ার এক ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়েছে।
ভিডিওতে স্থানীয় পরিচয়ে কয়েকজন যাঁরা বেড়াতে এসেছেন, তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। পর্যটকদের এলাকার পরিবেশ নষ্ট না করা ও অশ্লীলতা না করার কথা বলা হয়। বেড়াতে আসা অনেকেই ওই এলাকায় মদ্যপান ও অশ্লীল কার্যকলাপ করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছেন বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পর্যটকদের উৎমাছড়ায় বেড়াতে যেতে যাঁরা নিষেধ করেছিলে, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুব জমিয়তের সহসভাপতি মুফতি রুহুল আমিন সিরাজী। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পর্যটনের কথা বলে নামে কিছু মানুষ ওই এলাকায় গিয়ে মদ্যপান ও অশ্লীল কার্যক্রম করছেন। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এসব বিষয়ে স্থানীয় আলেম-ওলামা ও মুরব্বি–যুবকদের নিয়ে ঈদের আগে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পর্যটনকেন্দ্রটি নিয়ে যাতে নিরুৎসাহিত করা হয়। এর অংশ হিসেবে গত রোববার বিকেলে বেড়াতে আসা লোকজনকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে।’