‘প্রেমের টানে’ চুয়াডাঙ্গায় এসে ‘প্রতারিত হয়ে’ ভারতে ফিরে গেল কিশোরী
বাংলাদেশি এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে চুয়াডাঙ্গায় এসেছিল ভারতের কলকাতার এক কিশোরী। তবে বাংলাদেশে আসার তিন দিনের মাথায় প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ করে ফিরে গেছে ওই কিশোরী। আজ বৃহস্পতিবার বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠকের পর যশোরের বেনাপোল দিয়ে তাকে কলকাতায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়। তার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা সমর সরকারের। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্রে গত ২৯ জুন ভারত থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে মেয়েটি। তিন দিন ধরে মেয়েটি চুয়াডাঙ্গায় সমরের সঙ্গেই ছিলেন।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সমর ও তাঁর এক বন্ধু মিলে গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই কিশোরীকে বেনাপোলে নিয়ে আসেন। তারপর কিশোরীকে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে দুজন পালিয়ে যান। পরে মেয়েটি সমরকে খুঁজে না পেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। এ অবস্থা দেখে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজিবি সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে নিয়ে রাখেন। পরে বিজিবি সব ঘটনা বিএসএফ সদস্যকে জানালে বৃহস্পতিবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেয়েটিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহম্মেদ হাসান জামিল বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বেনাপোল-পেট্রাপোল শূন্যরেখায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে মেয়েটিকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসএফ মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
আহম্মেদ হাসান জামিল আরও বলেন, মেয়েটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার বয়স ১৮ বছরের নিচে। ফলে মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা ভেবে পুলিশের কাছে বা সেফহোমে না পাঠিয়ে বিএসএফের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটির কাছে মুঠোফোন ছিল না। আবার যে ছেলেটির কাছে এসেছে, তার নাম–ঠিকানাও ঠিকমতো জানাতে পারেনি।