যাত্রীবেশে ওঠে মধ্যরাতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি
টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুই যাত্রী আহত হয়েছেন।
আহত দুজন হলেন, জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা গ্রামের মসির উদ্দিনের ছেলে তারা মিয়া (৪০) ও সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী কাকলি বেগম (৩৫)। বর্তমানে তাঁরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া অন্তত পাঁচ যাত্রীকে ডাকাতেরা মারধর করেছে বলে জানা গেছে।
মধুপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম ডাকাতির খবর নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে ঢাকার মহাখালী থেকে ইমন পরিবহনের একটি বাস প্রায় ৩০ জন যাত্রী নিয়ে জামালপুরের মাদারগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে বাইপাইল কাউন্টার থেকে আরও কয়েকজন যাত্রী ওই বাসে ওঠেন। ওই যাত্রীদের মধ্যেই সাত থেকে আটজন ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। বাসটি ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা চালককে মারধর করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। পরে তাঁরা চলন্ত বাসে যাত্রীর কাছ থেকে মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করেন।
এ সময় কয়েকজন যাত্রী বাধা দিতে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের আঘাত করেন। পরে মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া পেট্রোলপাম্পের কাছে বাস থামিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এরপর বাসের চালক বাসটি নিয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে আহত যাত্রীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মধুপুর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডাকাতি হওয়া বাসটি থানা–পুলিশের হেফাজতে আছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
এর আগে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট কুষ্টিয়া থেকে চট্টগ্রামগামী ঈগল পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ডাকাত দলের কবলে পড়ে। ডাকাত দল বাসটি কয়েক ঘণ্টা তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে ভেতরে যাত্রীদের মারধর ও লুটপাট চালায়। এ সময় এক নারী যাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদসংলগ্ন সড়কের পাশে বাসটি কাত করে রেখে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।