বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অপহরণের পাঁচ দিন পরও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেন ও ট্রাকচালক আবদুর রহিমের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
গতকাল শনিবার মুক্তি পাওয়া অপর ট্রাকচালক মো. মামুনও দুজনের ব্যাপারে তেমন তথ্য দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ওসি এ তথ্য জানান।
রুমা পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, ট্রাকচালক মামুনকে শনিবার সকালে ছেড়ে দিলেও আরেক ট্রাকচালক রহিম সম্পর্কে শুক্রবার থেকে কোনো সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আনোয়ারের ব্যাপারে অপহরকারীদের সঙ্গে তাঁদের কোনো কথা হয়নি। অবসরের পর ঠিকাদারি কাজ করা সার্জেন্টের সঙ্গে রুমার স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে খুব একটা সম্পর্কও নেই। তারপরও তাঁরা ধারণা করেছিলেন, মুক্তি পাওয়া মামুন এসে পৌঁছালে তাঁর কাছ থেকে তাঁদের দুজন সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।
পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য ও রুমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবু বক্কর বলেছেন, মুক্তি পাওয়া ট্রাকচালক মামুন জানিয়েছেন, তিনজনকে তুলে নেওয়ার পর একসঙ্গে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার বিকেল থেকে আলাদা রাখা হয়। গতকাল ভোরে তাঁকে (মামুন) চোখ বেঁধে নির্জন জায়গায় নিয়ে এসে ছেড়ে দিয়ে যায়। এ জন্য তিনি আনোয়ার ও রহিম সম্পর্কে কিছু জানেন না।
রুমা উপজেলার বগালেক-কেওক্রাডং-ধূপপানিছড়া নির্মাণাধীন সড়ক থেকে গত বুধবার ঠিকাদার ও অবসরপ্রাপ্ত সার্জন্ট আনোয়ার, দুই ট্রাকচালক মামুন ও রহিমকে অপহরণ করা হয়। কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ফেসবুক পেজে পরদিন সার্জেন্ট আনোয়ারের ছবিসহ তাঁদের তিনজনকে অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে। তবে আজ রোববার অপহৃত দুজন সম্পর্কে কেএনএফের ফেসবুক পেজে কোনো পোস্ট দেওয়া হয়নি। দুপুরে একটি পোস্টে বলা হয়, তারা শান্তি চায়। এ জন্য সরকারকে আলোচনায় বসতে হবে।
রুমার থানার ওসি ইমদাদুল হক বলেন, মুক্তি পাওয়া ট্রাকচালক মামুনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি রহিম ও সার্জেন্ট আনোয়ার সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তবে তাঁদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।