গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গিলাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মাসুদুল করিম বলেন, আগুনে বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষের চারটি বেঞ্চ, একটি সিলিং ফ্যান, আসবাব, ইলেকট্রনিক সুইচবোর্ড ও ওই কক্ষের এক পাশের টিনের জানালা পুড়ে গেছে। আজ রোববার ভোরে বিদ্যালয়ের পাশের এলাকার এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে আগুনে পোড়া পরিস্থিতি দেখতে পান।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যালয়ের সামনের দোকানি আবদুর রশিদ বলেন, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল হয়েছে। দোকানের ভেতরে থেকে তিনি মিছিলের শব্দ শুনেছেন। তবে ওই মিছিল থেকে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছ কি না, তা তিনি জানেন না। পরে সকালে উঠে তিনি দেখতে পান লোকজন আগুন নেভাচ্ছেন।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মূল ভবনের পাশে টিনের তৈরি একটি শ্রেণিকক্ষের জানালার কিছু অংশ পুড়ে গেছে। ভেতরে চারটি পোড়া বেঞ্চের লোহার কাঠামো পড়ে আছে। কাঠ পোড়া কয়লাগুলো মেঝেতে ছড়িয়ে আছে। সিলিং ফ্যানের পাখায় আগুনে পোড়ার চিহ্ন স্পষ্ট।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ফাহাদ বলে, ‘আমাদের স্কুলে আগুন দেওয়া হয়েছে। দুপুরে আমাদের পাঠদান কোথায় হবে জানি না। আগুনের খবর শুনে মন খারাপ হয়ে গেছে।’ একই শ্রেণির অপর শিক্ষার্থী মো. মারুফ বলে, ‘এমন ঘটনায় আমাদের খুব খারাপ লাগছে।’
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক আবদুল কাদির বলেন, পুড়ে যাওয়া শ্রেণিকক্ষে প্রথম পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান হতো। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আজ দ্বিতীয় শ্রেণির ৩২ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হয়েছে শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
আজ বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে মো. তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এটি কারা ঘটিয়েছে এবং নাশকতার ঘটনা কি না, তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে।