ফেনীতে নিজাম হাজারীসহ ২৪৪ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা
ফেনীর মহিপালে ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে সাইদুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। গত বুধবার রাতে নিহত ব্যক্তির বাবা ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, মামলায় ফেনী-২ (সদর) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান করিম উল্যাহ, ফেনী পৌরসভার মেয়র ও ফেনী পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির, শর্শদি ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জানে আলম ভূঞাসহ আসামি হিসেবে ৯৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি ১৫০ জন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ মামলার একজন আসামি সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ মানিক ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত সোমবার আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আটক হন। গত মঙ্গলবার এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট দুপুরে ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের সংযোগ স্থল মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচিতে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ঘটনাস্থলে ৮ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। তিন দিন পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। এতে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয় এবং এখনো অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।