সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেজে ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার দায়ে এক যুবককে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম মো. মোজাফ্ফর হোসেন ওরফে রনি (২৮)। তিনি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে র্যাব-৫ জানতে পারে, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার পানিয়া নরদাশ ডিগ্রি কলেজ এলাকার এক ব্যক্তি মুঠোফোন ও ফেসবুক ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম-পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইয়াসিন আলী (৩৫) নামের একজনকে আটক করে র্যাব। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার হোতা মোজাফ্ফর হোসেনকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে অন্তত ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার কথাও স্বীকার করেন তিনি।
পরে এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। মামলাটির তদন্তকালে ইয়াসিনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা বলেন, অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩টি ধারায় তাঁকে ১২ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে মোজাফ্ফর হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি জামিন নিয়ে পলাতক।