নরসিংদীতে নিখোঁজের ২৪ দিন পর মাদ্রাসাছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
নরসিংদীর পলাশ উপজেলা থেকে নিখোঁজের ২৪ দিন পর শিবপুর উপজেলা থেকে ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কারারচর এলাকার একটি কারখানার বর্জ্য শোধনাগার থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, অপহরণের পর শিশুটিকে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রাখা হয়েছিল। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আবদুল্লাহ। সে পলাশের সেকান্দরদী গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। সে সেকান্দরদী মধ্যপাড়া উম্মুল হাফিজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
পুলিশ বলছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি বর্জ্য শোধনাগারে শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে কর্তৃপক্ষকে জানান কারখানার নিরাপত্তাকর্মী মো. আবদুল আউয়াল। পরে লাশটি উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালায় পুলিশ। খবর পেয়ে ছুটে যান নিখোঁজ শিশু আবদুল্লাহর স্বজনেরা। তাঁরা লাশটি আবদুল্লাহর বলে শনাক্ত করেন।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা শিবপুর থানার উপপরিদর্শক অজয় বালা বলেন, ‘বর্জ্য শোধনাগার থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছি আমরা। তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীরে আরও কোনো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে।’
নিহত আবদুল্লাহর মা মোসা. পারুল বেগম জানান, গত ২২ নভেম্বর সকালে মাদ্রাসা থেকেই নিখোঁজ হয় আবদুল্লাহ। এর পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় তিনি পলাশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কোহিনুর মিয়া।