শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে গৃহবধূকে হত্যার পর পালিয়েছেন স্বামী, অভিযোগ স্বজনদের

হত্যা
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় নিজের ঘরে গৃহবধূকে শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গেছেন বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। আজ সোমবার ভোরে উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম ঝর্না খাতুন (২৪)। অভিযুক্ত স্বামী হলেন বাগমারা পূর্বপাড়া গ্রামের নির্মাণশ্রমিক রুবেল হোসেন (২৮)। নিহত ঝর্না উপজেলার বুজরুকৌড় গ্রামের আলিমুদ্দিনের মেয়ে।

নিহত ঝর্না খাতুনের মামা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মোজাহার আলীর অভিযোগ, রুবেল ও ঝর্নার মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল। কয়েকবার সালিসও করা হয়েছে। রুবেল নেশাগ্রস্ত। গতকাল রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয় বলে জেনেছেন। রুবেলের মা ও বোনের সহযোগিতায় তাঁর ভাগনিকে মেরে ফেলা হয়েছে।

প্রতিবেশীদের দাবি, স্ত্রীর পরকীয়া আছে—এমন সন্দেহ করতেন রুবেল হোসেন। এ নিয়ে ঝর্নাকে একাধিকবার মারধরও করেছেন।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার রাতের খাবার খেয়ে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ঝর্না খাতুন ও রুবেল হোসেন। আজ সোমবার ভোরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লোহার শাবল দিয়ে ঝর্নাকে এলোপাতাড়ি খোঁচাতে থাকেন রুবেল। চেতনা হারিয়ে ফেললে ঘরের বাইরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে এসে শাবল দিয়ে ঝর্নার গলা কাটেন। এ সময় চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরাও ছুটে এলে রুবেল পালিয়ে যান। পরে গলাকাটা অবস্থায় ঝর্নাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রুবেল, রুবেলের মা ও বোনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।