শুধু জিপিএ-৫ পেলে হবে না, তোমাদের সত্যবাদী ও নিষ্ঠাবান মানুষ হতে হবে। ইচ্ছাশক্তি থাকলে স্বপ্ন পূরণ হবে। সে জন্য তোমাদের বই পড়তে হবে। মনীষীদের জীবনী পড়তে হবে। বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার বরগুনায় শিখো-প্রথম আলো আয়োজিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ও বিশিষ্টজনেরা এ কথা বলেন। আজ সকালে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’ স্লোগানে প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখোর পৃষ্ঠপোষকতায় সারা দেশে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। বরগুনার এই আয়োজনে অংশ নেয় ২০২ জন কৃতী শিক্ষার্থী।
সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। নিবন্ধন বুথ থেকে কার্ড, নাশতা ও ক্রেস্ট নিয়ে মিলনায়তনে প্রবেশ করে তারা। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীতের মধ্যে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
প্রথম আলো বন্ধুসভার বরগুনার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানিয়া আক্তারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর বরগুনা প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিক। অনুষ্ঠানে মিথ্যা, মুখস্থ ও মাদককে ‘না’ বলার শপথ পড়ান বন্ধুসভার উপদেষ্টা তারিক বিন আনসারী। অতিথিদের মধ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন পাথরঘাটার সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল করিম, বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক খালেদা জান্নাতি, বরগুনা কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মিয়া, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগো নারীর নির্বাহী পরিচালক হোসনেয়ারা, বরগুনা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজবুল কবির প্রমুখ।
শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘তোমাদের শুধু জিপিএ-৫ পেলে চলবে না, একজন ভালো মানুষ হওয়ার জন্য তোমাদের লেখাপড়া প্রতি আগ্রহ ধরে রাখতে হবে। জিপিএ-৫ পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়, জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভালো মানুষ হওয়া।’
জাগো নারীর হোসনেয়ারা বলেন, ‘তোমরা যারা জিপিএ-৫ পেয়েছ, প্রথম আলো তোমাদের সংবর্ধনা দিচ্ছে। আসলে এটা তোমাদের সম্মান জানাচ্ছে, উৎসাহ দিচ্ছে যেন আগামীর দিনগুলোতে তোমরা আরও ভালো ফল করতে পার।’
বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে কবিতা আবৃত্তি, গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। স্মৃতি ধরে রাখার জন্য শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে ছবি তোলে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সহকারী অধ্যাপক খালেদা জান্নাতি বলেন, ‘তোমরা লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হলে আলোকিত মানুষ হতে পারবে। তোমাদের আজকের এই অর্জনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’
অধ্যক্ষ জিয়াউল করিম বলেন, শুধু জিপিএ-৫ পেলে হবে না, তোমাদের সত্যবাদী ও নিষ্ঠাবান মানুষ হতে হবে। এর জন্য বই পড়তে হবে। মনীষীদের জীবনী পড়তে হবে। জীবনে উন্নতি করতে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে। আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে স্বপ্নপূরণ হবে। সে জন্য বেশি বেশি বই পড়তে হবে।’
আয়োজনটি পাওয়ার্ড বাই কনকা-গ্রি এবং সহযোগিতায় থাকছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, কোয়ালিটি গ্রুপ, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, আকিজ টেলিকম লিমিটেড, আম্বার আইটি লিমিটেড, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।