গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের গোলাঘাট-লাকচতল সড়কের দুটি অংশ তিন মাস ধরে ভেঙে আছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে ওই সড়ক ধরে চলা যানবাহনগুলো। ভাঙা অংশ থেকে প্রতিনিয়ত মাটি সরে যাচ্ছে।
গত বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, লাকচতল এলাকায় ধাত্রী নদীর পাড় ঘেঁষে পিচঢালা সড়কের উত্তর অংশে দুটি জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কের ভিটিপাড়া মসজিদের পাশে ৫০ মিটার ও টেংরাবাড়ী এলাকায় ৪০ মিটারজুড়ে পিচসহ মাটি দেবে নদীতে চলে গেছে। ভাঙনের অংশে অন্তত ১০ ফুট গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। পিচঢালা ওই সড়ক ধরে প্রতিনিয়ত রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মালবাহী পিকআপ চলাচল করে। এ ছাড়া ওই সড়কে ভিটিপাড়া, নিমাইচালা, দেওডর, লাকচতল, ঠাকুরতলাসহ অন্তত আটটি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন। ২০২১ সালে কাঁচা ওই সড়ককে পিচঢালা সড়কে উন্নীত করা হয়। সম্প্রতি ওই দুটি ভাঙনে ছোটখাটো দুর্ঘটনার কথাও জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। ভিটিপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২০ জুলাই রাতে টেংরাবাড়ী ভাঙা সড়কে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পেছনের চাকা পড়ে যায়। তখন ওই অটোরিকশায় কোনো যাত্রী ছিলেন না। পেছনের চাকা ভাঙা অংশে পড়লেও অটোরিকশাটি পাশের একটি গাছের সঙ্গে আটকে যাওয়ায় সেটি খাদে পড়েনি।
এ ছাড়া লাকচতল গ্রামের ওমর ফারুক বলেন, ভিটিপাড়া মসজিদের পাশে ভাঙা সড়কে বুধবার রাত ১০টায় একটি অটোরিকশা দুর্ঘটনাকবলিত হয়। এতে এক বৃদ্ধ যাত্রী ও অটোরিকশাচালক সামান্য আহত হয়েছিলেন। গর্তের কারণে যেকোনো গাড়ি মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি সবার।
তিন মাস ধরে সড়কটির দুটি অংশ ভেঙে আছে বলে জানালেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মারুফ শেখ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সড়কটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। উপজেলা প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী এ জেড এম রকিবুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের লোকজন সেখানে গিয়েছিলেন। আমরা খুব দ্রুত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব।’