খেলার মাঠের দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনায় পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরিদর্শনে মাউশির প্রতিনিধিদল। শনিবার সকালে
ছবি: প্রথম আলো

খেলার মাঠের দাবিতে পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ঘটনায় বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন মাউশির বরিশাল অঞ্চলের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন ও পটুয়াখালীর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহা. মুজিবুর রহমান। তাঁরা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠসহ চার পাশ পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধিদলের কাছে বিদ্যালয়ের মাঠ ও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আরও সরকারি জমির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, ৪০ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত চৌহদ্দিঘেরা মাঠটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সৃজনশীলতা বিকাশে মাঠটির কোনো বিকল্প নেই। শতবর্ষী এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যালয়ের ভবন সম্প্রসারণ, নতুন ভবন নির্মাণ, মিলনায়তনসহ উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত জায়গার প্রয়োজন।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিকিৎসক নুরুনাহার বেগম, অধ্যাপক লুৎফুন নেছা, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক পুষ্প রানী সাহা, শিক্ষক আলেয়া সাইদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া প্রতিনিধিদল বর্তমান শিক্ষার্থীদের কথা শোনে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের জন্য বর্ধিত জায়গা ও সেখানে খেলার মাঠ করে দেওয়ার দাবি জানায়। প্রতিনিধিদল পরে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেন।

প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে পৌর মেয়র মহিউদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়টির অবকাঠামো উন্নয়নসহ সৌন্দর্যবর্ধনে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করতে হবে। এ জন্য আরও জায়গার প্রয়োজন। এটি করতে পারলে বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য আরও বৃদ্ধি পাবে।

মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন পরিদর্শনে এসেছি। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলছি ও মতামত নিচ্ছি।’

২৯ আগস্ট প্রথম আলোয় ‘খেলার মাঠের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর মাউশির বরিশাল কার্যালয় থেকে বিদ্যালয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরিদর্শন করে।