সালথায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ, লাখ টাকা জরিমানা

বাল্যবিয়ে
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তার বিয়ে বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সালাহউদ্দীন আইয়ুবী।

এ সময় বাল্যবিবাহের আয়োজন করার অপরাধে বর ও কনের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের আয়োজনের ব্যাপারে দুই অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রী। তার সঙ্গে ফরিদপুর সদর উপজেলার আলীয়াবাদ ইউনিয়নের বিল মাহমুদপুর এলাকার এক তরুণের বিয়ে ঠিক হয়। বর-কনের উভয় পক্ষের সম্মতিতে আজ বিকেলে কিশোরীর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।

গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাহউদ্দীন আইয়ুবী ওই বাড়িতে আসেন। তিনি বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় বর ও  কনের বাবাকে জরিমানা করেন। পাশাপাশি কিশোরীর বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের আয়োজন করা হবে না মর্মে দুই অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেন।

মো. সালাহউদ্দীন আইয়ুবী প্রথম আলোকে বলেন, ওই কিশোরীর বাল্যবিবাহের আয়োজনের খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। এ সময় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুয়ায়ী কনের বাবাকে ৫০ হাজার ও বরের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।