রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি আপাতত স্থগিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলিম। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরের সামনেছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ–উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের ডাকা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরের সামনে এ ঘোষণা দেন ফোরামটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলিম।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে আবদুল আলিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মৌখিক প্রতিশ্রুতি এবং রাকসু নির্বাচনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি দৃশ্যমান না হলে আবার কর্মসূচি দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি বলেন, শাখা জিয়া পরিষদ ও ইউট্যাবের শিক্ষকদের নিয়ে উপাচার্যের আহ্বানে এক আলোচনা সভা হয়। আলোচনা শেষে উপাচার্য ২০ সেপ্টেম্বরের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচনের আগে আবার নতুন করে কর্মসূচি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল আলিম বলেন, ‘রাকসু কার্যক্রম স্বাভাবিক ও গতিশীল রাখার জন্য আমাদের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। আমাদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, এর ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন

এর আগে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, শিক্ষক ফোরামের নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ হয়েছে।

পোষ্য কোটার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার আওতায় যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছিল, সেটি আপাতত স্থগিত আছে। বিশ্ববিদ্যালয় সচল রাখার জন্য সবাইকে বুদ্ধি ও বিবেক অনুযায়ী একটি বোঝাপড়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে। বোঝাপড়াটা খুব বেশি দরকার। রাকসুর ব্যালট পেপার থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ। এই সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলোর সমাধান করার চেষ্টা চলছে।

এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ১০ শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। একপর্যায়ে গত শনিবার জুবেরী ভবনে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও কর্মকর্তারা কর্মবিরতিতে যান।

আরও পড়ুন