গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নিয়মতান্ত্রিক যুদ্ধে বিভাগীয় সদরগুলোতে বিএনপি জয়লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন। তিনি বলেছেন, এরপরও যদি সরকারের ঘুম না ভাঙে, তবে ১০ ডিসেম্বরের পরে আন্দোলন দ্বিতীয় পর্বে উন্নীত হবে। সরকারকে বিদায় করার পর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনরত সব পক্ষকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে বিএনপি।
আজ রোববার খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘তারেক রহমান ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করা হয়।
সরকার দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে উল্লেখ করে জহির উদ্দিন বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে বিএনপি এই ভঙ্গুর রাষ্ট্রব্যবস্থাকে পরিপূর্ণভাবে মেরামত করবে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেওয়া সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। যার নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান।
জহির উদ্দিন অভিযোগ করেন, সিলেটের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও আট নেতা–কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সরকার বিএনপির আন্দোলনকে রক্তাক্ত করতে চায়। ভয়ভীতি দেখাতে চায়। বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে সহিংস করে তুলতে চায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী বলেন, তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখে বাংলাদেশ ভালো থাকতে পারে না। নেতা তিনি, যিনি জনগণকে উজ্জীবিত করতে পারেন। তারেক রহমানের ডাকে দেশের মানুষ মুক্তির জন্য পাগল হয়ে উঠেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলমের (মনা) সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম বাবর আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গাজী আবদুল বারী, নগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম, বিএফইউজের সহসভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, মুসলিম লীগের মহানগর সাধারণ সম্পাদক আক্তার জাহান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনিরুল হাসান।