ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র কেনার প্রক্রিয়া গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। তবে গত তিন দিনে চট্টগ্রামে কেউ মনোনয়নপত্র নেননি। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ। তিনি বলেন, শুক্রবার থেকে রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র কেনেননি। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র কেনা ও জমা দেওয়া যাবে।
মোহাম্মদ বশির আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো এখন নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে মনোনয়নপত্র কেনা ও জমা দেওয়ার কার্যক্রম জমে উঠবে। আগের নির্বাচনগুলোতেও এ প্রবণতা দেখা যেত।
বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। অর্থাৎ এসব কার্যালয়ে মনোনয়ন কেনা ও জমা দেওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১৬টি সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ হবে। এসব আসনে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) একাধিক রাজনৈতিক দল প্রার্থী ঘোষণা করেছে। মাঠপর্যায়ে প্রার্থীদের অনেকেই এখন গণসংযোগ ও দলীয় বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতিমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জরিমানা গুনেছেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার তাঁকে জরিমানা করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি জানান, আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে একযোগে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি এবং তা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।