ময়মনসিংহ নগরে বাহারি ইফতারির পসরা, দাম চড়া

নামীদামি রেস্তোরাঁর পাশাপাশি নগরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতেও ইফতারসামগ্রীর দোকান বসেছে। আজ শনিবার বিকেলে নগরের চরপাড়া মোড় এলাকায়
ছবি: আনোয়ার হোসেন

ময়মনসিংহ নগরে গাঙ্গিনারপার আর নতুনবাজার এলাকার রেস্তোরাঁগুলোয় পাওয়া যাচ্ছে মুখরোচক ইফতারসামগ্রী। পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি বিশেষ ইফতারি পরিবেশন করছে রেস্তোরাঁগুলো। তবে বাহারি এসব ইফতারির দাম চড়া বলে দাবি করছেন সাধারণ ক্রেতারা। রেস্তোরাঁর মালিকেরা বলছেন, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অনেক পণ্যের দাম আগের বছরের মতোই আছে। তবে মুরগি ও খাসির মাংসের দাম বাড়ায় মাংস দিয়ে তৈরি খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়াতে হয়েছে।

এদিকে নামীদামি রেস্তোরাঁর পাশাপাশি নগরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতেও রোজা উপলক্ষে ইফতারসামগ্রীর দোকান বসেছে। এসব দোকানেও মিলছে বাহারি ইফতারসামগ্রী।

আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরের নতুনবাজার এলাকার ‘সেফ্রন’ রেস্তোরাঁর সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মুখরোচক ইফতারির কেনাবেচা চলছে। প্রতি পিস পেঁয়াজু, আলুর চপ আর বেগুনির দাম ২০ টাকা। টিক্কা কাবাব ও জালি কাবাব বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৪০ টাকা ও ৫০ টাকায়। এ ছাড়া আস্ত মুরগির রোস্ট ৬০০ টাকা ও খাসির লেগ রোস্ট ৮০০ টাকা।

বাহারি এসব ইফতারির দাম চড়া বলে দাবি করছেন সাধারণ ক্রেতারা
ছবি: আনোয়ার হোসেন

নতুনবাজার এলাকার অ্যামিগোসে বসেছে বিশেষ ইফতারির বাজার। তবে সেখানে পেঁয়াজু, বেগুনি আর আলুর চপের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা করে। রেস্তোরাঁর পরিচালক মঈন রায়হান বলেন, ‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা চাইলেও ময়মনসিংহে একটি পেঁয়াজু বা বেগুনির দাম ১০ টাকার বেশি রাখতে পারি না। তবে মুরগি আর খাসির মাংসের দাম সম্প্রতি অনেক বেড়ে গেছে। তাই দাম গত বছরের তুলনায় খাসি ও মুরগির আইটেমগুলোর দাম ৩০ শতাংশ বাড়াতে হয়েছে।’

ক্রেতারা বলছেন, এসব ইফতারসামগ্রী খেতে সুস্বাদু হলেও বেশির ভাগ মানুষের পক্ষে এগুলো কেনা সম্ভব হয় না। তাই ছোলা, পেঁয়াজি আর বেগুনির মতো সাধারণ খাদ্যসামগ্রীর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
নতুনবাজার এলাকার আখতার হুসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে এত বাহারি খাদ্যসামগ্রী রোজ রোজ কেনা সম্ভব নয়। হয়তো শখ করে এক-দুবার কেনা হয়।’

আবদুল্লাহ আল মামুন নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘খাবারের দাম দেখার পর আর কেনার সাহস হয় না। দাম কিছুটা কম থাকলে ভালো হতো।’

পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি বিশেষ ইফতারি পরিবেশন করছে রেস্তোরাঁগুলো
ছবি: আনোয়ার হোসেন

এদিকে ময়মনসিংহ নগরের গাঙ্গিনারপার এলাকায় রয়েছে বহু বছরের পুরোনো কিছু ছোট রেস্তোরাঁ। গাঙ্গিনারপার এলাকার ইফতারির দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, এখানে আকারভেদে ৫ থেকে ১০ টাকায় মিলছে পেঁয়াজু আর বেগুনি। পাশাপাশি আলুর চপ, পাকোড়া, হালিম, বুন্দিয়াসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর দামও নতুনবাজার এলাকার বড় রেস্তোরাঁগুলোর তুলনায় কিছুটা কম।

গাঙ্গিনারপার এলাকার আল হাফিজ নামের একটি রেস্তোরাঁর বিক্রেতা মো. জালাল বলেন, ‘সব ধরনের কাস্টমারের (ক্রেতা) কথা ভেবেই আমরা ব্যবসা করি। যে কারণে খুব বেশি দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।’