পঞ্চগড়ে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সারজিসের নেতৃত্বে এনসিপির লংমার্চ
চাঁদাবাজি, দখলদারি, দুর্নীতিসহ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের নেতৃত্বে পঞ্চগড়ের ঐতিহাসিক চিনিকল মাঠ থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়।
লংমার্চে কয়েকটি পিকআপসহ পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে পাঁচ উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী ছাড়াও এনসিপি ও জাতীয় যুবশক্তির নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছেন। লংমার্চটি পঞ্চগড় থেকে সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে যাবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরের চৌরাস্তা বাজারে ও বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজার পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সারজিস আলমসহ এনসিপির অন্য নেতারা বক্তব্য দেবেন। রাতে লংমার্চটি পঞ্চগড়ে ফিরে জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্ক-সংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে সমাপনী বক্তব্য দেবেন সারজিস আলম। পরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
দুপুরে পঞ্চগড় শহর পার হওয়ার সময় পিকআপের ওপর সারজিস আলম নিজেই মাইকে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় অন্য পিকআপ ও মোটরসাইকেলে থাকা নেতা-কর্মীরা স্লোগানে তাল মেলাচ্ছিলেন। এ সময় সারজিস আলমকে ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না, পঞ্চগড়ে হবে না’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, পঞ্চগড়ে হবে না’, ‘মাদকের ঠিকানা, পঞ্চগড়ে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
লংমার্চে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের হাতে বিভিন্ন লেখা-সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়। এতে ‘পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চাই’, ‘পুলিশকে অবশ্যই রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে’, ‘প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে হবে’সহ নানা দাবির কথা লেখা ছিল।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সারজিস আলম নিজের ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এনসিপি আয়োজিত চাঁদাবাজি, দখলদারি, সিন্ডিকেট, দুর্নীতিসহ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ের এই লংমার্চে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।