গাইবান্ধায় উচ্ছ্বাস-আনন্দে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা শুরু

গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আজ শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে শিখো-প্রথম আলো জিপিএ–৫–প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাছবি: মঈনুল ইসলাম

গাইবান্ধায় আজ সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছিল। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখর হয়ে উঠেছে গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। এসব শিক্ষার্থী এসেছে জিপিএ-৫ উৎসবে যোগ দিতে। প্রথম আলোর আয়োজনে এবং শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় আজ শুক্রবার দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে।

আজ সকাল আটটার পর থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীরা উৎসব প্রাঙ্গণে আসতে থাকে। কয়েক মাস পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় অনেকের। তাদের গল্প, আড্ডা আর ছবি তোলায় মুখর হয় উৎসবস্থল। এর মধ্যে মাঠে থাকা পাঁচটি বুথ থেকে তাদের ক্রেস্ট ও নাশতা বিতরণ করেন বন্ধুসভার সদস্যরা।

উৎসবে অংশ নিতে জিপিএ-৫ পাওয়া গাইবান্ধা জেলার ১ হাজার ১০৪ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে। সারা দেশের ৬৪টি জেলায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের উৎসব পাওয়ার্ড বাই বিকাশ। সহযোগিতা করছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।

জিপিএ-৫ উৎসবে আসা ইবাদত হাসান বলে, ‘গাইবান্ধা বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছি। পরীক্ষার পর থেকে বন্ধুরা কোচিং ও ভর্তি নিয়ে ব্যস্ত ছিল। কারও সঙ্গে কবে দেখা হবে না হবে, সে নিশ্চয়তা ছিল না। আজ উৎসবের কারণে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলো। কী যে আনন্দ লাগছে তা বোঝানোর ভাষা জানা নেই।’

গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা কৃতী শিক্ষার্থীদের গল্প, আড্ডা আর ছবি তোলায় মুখর হয় উৎসবস্থল। আজ সকালে গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে
ছবি: মঈনুল ইসলাম

জেলা শহর থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। সেখান থেকে উৎসবে এসেছে শিক্ষার্থী সাদিকাতুল জান্নাত। সে এবার ধর্মপুর পিএন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। উৎসবে এসে সে জানায়, আজকের উৎসবটি অন্যান্য অনুষ্ঠানের তুলনায় একটু আলাদা। কারণ, এখানে গোটা জেলার শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। উৎসবে এসে নতুন নতুন বন্ধুর সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে তার ভাল লেগেছে বলে জানায় সে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে এসেছে আরেক কৃতী শিক্ষার্থী রাতুল মিয়া। সে উপজেলার বাসুদেবপুর চন্দ্র কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাবার সঙ্গে উৎসবে এসেছে সে। রাতুল বলে, ‘উৎসবে এসে অনেক দিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলো। এ সাক্ষাতের মজাই অন্য রকম।’ সদর উপজেলার গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে আসা শেখ সাদিয়া বলে, ‘প্রথম আলোর সংবর্ধনায় অংশ নিতে অপেক্ষা করেছিলাম। এখানে এসে বর্ণিল আয়োজন দেখে মনটাই ভরে গেল।’

উৎসবে অংশ নিতে জিপিএ-৫ পাওয়া গাইবান্ধা জেলার ১ হাজার ১০৪ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে
ছবি: মঈনুল ইসলাম

দিনব্যাপী সংবর্ধনায় শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, প্রথম আলো ই-পেপার (১ মাস) ও চরকির (১৫ দিন) ফ্রি সাবস্ক্রিপশন, শিখোর সৌজন্যে বিনা মূল্যে কোর্স ও ফ্রেশ ব্র্যান্ডের স্ন্যাকস বক্স। শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দিতে উৎসবস্থলে উপস্থিত হয়েছেন গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান, গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহানা বানু এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুল হক মণ্ডল, প্রথম আলোর রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক আরিফুল হক প্রমুখ।