ডোমারে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

নীলফামারীর ডোমারে স্ত্রী ও সন্তানকে এক ব্যক্তি হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের নিমজখানা গ্রামের হরতকীতলায় এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর ওই ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম জিয়ারুল ইসলাম (৩০)। তিনি বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ি গ্রামের চান্দিনাপাড়ার সোমারু ইসলামের ছেলে। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় লোকজন জানান, আজ সকালে জিয়ারুল তাঁর শ্বশুর আবদুল করিমের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁর স্ত্রী–সন্তানেরা ছিল। পারিবারিক কলহের জেরে জিয়ারুল তাঁর স্ত্রী রত্না বেগম (২৬), আড়াই বছরের মেয়ে ইয়াসমিন আরা ও শাশুড়ি বিলকিস বেগমকে (৪৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন। এরপর তিনি তাঁর ১৪ দিনের একটি ছেলেসন্তানকে পুকুরে ফেলে দেন এবং নিজে নিজের পেট ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটেন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী রত্না বেগম ও শিশুকন্যা ইয়াসমিন আরা ঘটনাস্থলে নিহত হয়।

পরে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিয়ারুল, তাঁর শাশুড়ি বিলকিস বেগম ও ১৪ দিনের শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। চিকিৎসক গুরুতর আহত জিয়ারুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

এ বিষয়ে বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য অশ্বিনী কুমার রায় বলেন, জিয়ারুলের বাড়ি থেকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। প্রায় তিন মাস আগে তাঁদের পারিবারিক কলহ হয়। আজকের ঘটনাটি কিভাবে হলো, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদ উন নবী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ থেকে ঘটনার সূত্রপাত। আহত তিনজনের মধ্যে জিয়ারুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর শাশুড়ি ও ১৪ দিনের শিশুসন্তান ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। ঘটনাস্থল থেকে জিয়ারুলের স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।