পেকুয়ায় বসতঘর থেকে তরুণের লাশ উদ্ধার, স্ত্রী পলাতক

লাশ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে নিজের বসতঘর থেকে রিদুয়ানুল হক (২৬) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওই ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ বুধবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। রিদুয়ানুল উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে রিদুয়ানুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন তাঁর স্ত্রী রুমি আকতার (২৫)। ঘটনার পর থেকে রুমি পলাতক।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেন রিদুয়ানুল। এরপর তিনি বাজারপাড়া এলাকায় নিজের বসতঘরে যান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, রিদুয়ানুলের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। স্বজনেরা এটিকে হত্যা দাবি করায় লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

স্থানীয় লোকজন জানান, দেড় বছর আগে রিদুয়ানুলের সঙ্গে রুমির বিয়ে হয়। এটি রিদুয়ানুলের দ্বিতীয় ও রুমির তৃতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে কলহ লেগে থাকত।

নিহত তরুণের ভাই মোহাম্মদ করিম অভিযোগ করে বলেন, রুমিকে বিয়ের পর মগনামা বাজারপাড়া এলাকায় বসতঘর তৈরি করে বসবাস করতেন রিদুয়ানুল। পারিবারিক কলহের জেরে রিদুয়ানুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন রুমি আকতার।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওমর হায়দার বলেন, রিদুয়ানুলের মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনেরা রুমি আকতারকে দায়ী করছেন। রুমি আকতার ঘটনার পর থেকে পলাতক। তবে এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি।