সরিষাবাড়ীতে বিএনপির ৮৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

জামালপুর জেলার মানচিত্র

নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে এবার জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার খালিদ মাসুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

ওই মামলায় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ৪৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর প্রথম আলোকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে আটক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সামছুল হক, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মাছুম আহম্মেদ, বিএনপির সমর্থক বেলাল হোসেন, উপজেলা যুবদলের কর্মী সুমন মিয়া ও সাহিদুল হাসানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ সন্ধ্যায় সরিষাবাড়ী থানার এসআই খন্দকার খালিদ মাসুদ বাদী হয়ে মামলা করেন।

জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার বলেন, ১০ ডিসেম্বর সরিষাবাড়ী থেকে কোনো নেতা-কর্মী যাতে ঢাকায় গণসমাবেশে যেতে না পারেন, তাই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে গায়েবি মিথ্যা মামলা করেছে।

সরিষাবাড়ী থানা-পুলিশ জানায়, গতকাল সরিষাবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ঢাকায় অনুষ্ঠেয় আগামী ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ উপলক্ষে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। একপর্যায়ে সেখান থেকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সামছুল হকসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় এসআই খন্দকার খালিদ মাসুদ বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরিষাবাড়ী থানার এসআই বশিরুল আলম জানান, গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আজ সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।