হত্যা প্রচেষ্টার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুরের

বাড়িতে হামলা ও হত্যা প্রচেষ্টার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমানের সংবাদ সম্মেলন। আজ সোমবার বিকেলে গাইবান্ধা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

বাড়িতে হামলা ও হত্যা প্রচেষ্টার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান। আজ সোমবার বিকেলে গাইবান্ধা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন, সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের ধনারূহা গ্রামে তাঁর বাড়ি। গত ২৮ ডিসেম্বর একই গ্রামের লিটন মিয়া (২৫) নামের এক তরুণ তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেন। লিটন প্রকাশ্য একটি ধারালো চায়নিজ চাপাতি হাতে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। তিনি অস্ত্র হাতে দোতলায় উঠে যান। উপস্থিত লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন বাড়ির চারপাশে উপস্থিত হন। কিন্তু ভয়ে সশস্ত্র লিটনকে কেউ বাধা দিতে পারেননি। লিটন প্রথম তলার সব দরজা বন্ধ পেয়ে দ্বিতীয় তলায় চলে যান। ছোটাছুটি করে সেখানে কাউকে না পেয়ে তৃতীয় তলায় যান। সেখানে একটি বিদেশি পোষা বিড়ালকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করেন।

আরও পড়ুন

সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী, এরপর লিটন বাড়ির দোতলার শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙে সেখানে আশ্রয় নেন। আশপাশের লোকজনের চিৎকারে লিটন আতঙ্কিত হয়ে নিজেই নিজের শরীর ছুরি দিয়ে কাটেন। পরে তাঁর বাবা এসে তাঁকে নিরস্ত্র করেন এবং বেঁধে ফেলেন। খবর পেয়ে সাঘাটা থানা থেকে পুলিশ এসে তাঁকে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় লিটনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, লিটন ধারালো চায়নিজ চাপাতি কোথায় পেল? তাঁর শয়নকক্ষ কীভাবে চিনলেন? কেন তাঁর বাড়িটি টার্গেট করলেন? এসব প্রশ্ন সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে। ওই সময় তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ থাকলে নিশ্চিত লিটনের হাতে মারা যেতেন। উপনির্বাচনের সময় বাড়িতে প্রতিদিন শত শত চেনা-অচেনা মানুষ আসছেন। পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে এলাকার কোনো মানুষের সামান্যতম বিরোধ নেই। তাই বাড়িতে হামলা ও হত্যা প্রচেষ্টার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের বিচার চান তিনি।

এসব বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার দিন মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে বন্য পশু হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার আসামি লিটন বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন। ওসি বলেন, লিটন মানসিক রোগী কি না, তা বলতে পারবেন না। তিনি নিজে নিজের গলায় ছুরিকাঘাত করেছেন এবং ঘটনার আগের দিন একটি কবরে শুয়ে ছিলেন। এলাকার লোকজন তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছেন। এ ছাড়া সাত দিন আগে থেকে তাঁর আচার–আচরণ এলোমেলো পরিলক্ষিত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।