টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে থেমে থেমে গুলি

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়াফাইল ছবি

কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার দক্ষিণাংশের ওপারে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে থেমে থেমে গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ও সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। দুজন বলেন, যেসব স্থান থেকে গুলির আওয়াজ আসছে, সেখানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর মেগিচং, কাদির বিল, নুরুল্লাহ পাড়া, মাংগালা ও ফাদংচা এলাকা অবস্থিত। এসব এলাকায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কয়েকটি ক্যাম্প রয়েছে। গুলির আওয়াজের সঙ্গে এসব এলাকার কয়েকটি স্থানে ধোঁয়া উড়তেও দেখা গেছে।

টেকনাফের দক্ষিণাংশে থাকা সেন্ট মার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রায় সময় রাতে মিয়ানমারে গোলাগুলির আওয়াজ তাঁরা শুনতে পান। দিনে গোলাগুলির আওয়াজ তেমন হয় না। হঠাৎ করে আজ গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পেয়ে অনেকেই হতবাক হন।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছৈয়দ আলম বলেন, বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের বিজিপি, সেনাবাহিনী, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে হয়তো বিদ্রোহীরা আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করেছে। বেলা সাড়ে ১১টার পর নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।

জানতে চাইলে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহি উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোররাত থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়ে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্তে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।