টেকনাফে আরও ছয়জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

অপহরণপ্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে আরও ছয় ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয়। ভুক্তভোগীদের পরিবারের দাবি, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে প্রত্যেকের জন্য তিন লাখ টাকা করে দাবি করেছেন।

অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন, হোয়াইক্যংয়ের করাচিপাড়া এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে মো. জুনাইদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে মো ফরিদ (৩৫), নাজির হোছেনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪), শহর মুল্লুকের ছেলে গুরা পুইত্যা (৩২)।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহ জালাল ছয়জনকে অপহরণের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাহাড়ি এলাকায় গরু চরানো ও চাষাবাদের কাজ করতে গিয়ে ছয়জন অপহৃত হয়েছেন। শাকিলের বাবা লেদু মিয়াকে ফোন করে অপহরণকারীরা তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবির বিষয়টি জানান। অপহৃত ব্যক্তিদের মারধর করে তাঁদের চিৎকার পরিবারের সদস্যদের শোনানো হয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে তাঁদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবারও টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের কম্বনিয়াপাড়া পাহাড়ি এলাকায় গরু চড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন দুই রাখাল। তাঁদের এখন পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি। তাঁদের পরিবারের কাছেও ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, অপহরণের বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫১ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।