লাকসামে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল স্কুলশিক্ষকের

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার লাকসাম পৌর এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে রৌশন বিনতে শফিক (৪৪) নামের এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়-লাগোয়া রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রৌশন বিনতে শফিক লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাবার বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের মেয়ে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে সাতটায় লাকসাম শহরে নিজ বাসা থেকে বের হন স্কুলশিক্ষক রৌশন বিনতে শফিক। হাঁটতে হাঁটতে একপর্যায়ে তিনি লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এলাকা পর্যন্ত চলে আসেন। এ সময়ে রেললাইন অতিক্রম করতে গিয়ে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি। খবর পেয়ে তাঁর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, স্কুলশিক্ষক রৌশন বিনতে শফিক দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহে ছিলেন। তাঁর প্রথম বিয়ে হয় চাঁদপুরে। ওই সংসারে তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তিনি ওই সন্তানদের নিয়ে লাকসাম শহরে ভাড়া থাকতেন। প্রথম স্বামী সন্তানদের নিয়মিত ভরণপোষণ দেন। পরে মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা এলাকার এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন ওই স্কুলশিক্ষক। ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর ঝামেলা চলছিল। এ জন্য বিষণ্নতার কারণে তিনি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, নোয়াখালী থেকে আসা ঢাকাগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটির সামনে ওই শিক্ষক ঝাঁপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। এলাকাবাসীর মাধ্যমে তিনি এমন তথ্য পেয়েছেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে বলা যাবে।

লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রৌশন ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ভালো পড়াতেন। কী থেকে কী হলো তিনি বুঝতে পারছেন না। কেউ বলেছেন, ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। আবার কেউ বলেছেন, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।