গ্রেনেডসদৃশ বস্তুটি ঘরে ছিল ৬ মাস ধরে, পরে ৯৯৯-এ কল
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় দুই মাসের ব্যবধানে বসতবাড়ি থেকে আরও একটি গ্রেনেডসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ব্যাপারীকান্দি এলাকার কৃষক মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে সেটি উদ্ধার করে। ছয় মাস ধরে ঘরের মধ্যে ছিল গ্রেনেডসদৃশ বস্তুটি।
এর আগে গত ২ জুলাই রাতে উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর এলাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক জয়নাল আবেদিনের ঘরের শোকেসের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় দুই ইঞ্চি লম্বা একটি গ্রেনেড। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিবচর থানার সামনের একটি পরিত্যক্ত জায়গায় ৩ ফুট গর্ত করে গ্রেনেডটি বিস্ফোরণে মাধ্যমে ধ্বংস করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম বোম ডিসপোজাল ইউনিটের একটি বিশেষজ্ঞ দল।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, উদ্ধার করা গ্রেনেডসদৃশ বস্তুটি সচল আছে কি না, তা বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। তবে এটিতে মরিচা ধরেছে। এটিও দুই ইঞ্চি লম্বা। আগের উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডের সঙ্গে এটির বেশ মিল রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে ব্যাপারীকান্দি এলাকার শাহিন ব্যাপারীর পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সিফাত ও ইলিয়াস ফকিরের চার বছর বয়সী ছেলে সাব্বির বাড়ির পাশে একটি মাঠে খেলছিল। খেলতে খেলতে তারা মাঠের দক্ষিণ দিকের একটি ঝোপের মধ্যে গ্রেনেডসদৃশ একটি বস্তু দেখতে পায়।
শিশুরা বস্তুটি উদ্ধার করে প্রতিবেশী কৃষক মিজানুর ব্যাপারীর মেয়ে কলেজছাত্রী সুমাইয়া আক্তারকে দেখায়। সুমাইয়া সেটি চিনতে না পেরে নিজেদের ঘরে রেখে দেন। এরই মধ্যে শিবচরের সন্ন্যাসীরচরে উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা সংবাদটি গতকাল নজরে পড়ে সুমাইয়ার। তখন তিনি ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান। গতকাল রাত ১১টার দিক ভদ্রাসন পুলিশি তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. সেলিম রেজার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সুমাইয়াদের বাড়িতে গিয়ে গ্রেনেডসদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে।
পরিদর্শক মো. সেলিম রেজা বলেন, বালতির মধ্যে বালুচাপা দিয়ে গ্রেনেডসদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে জানানো হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।